অনুবাদঃ- ৪৪১৩/১২ বোখারীর অপর এক রেওয়ায়েতে আছে, তিনি{হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একবার ইহুদীগন নবী (সঃ) এর খেদমতে আসল এবং বলল, ‘আস্সামু আ’লাইকা’ । উত্তরে তিনি বললেন ওয়া আলাইকুম কিন্তু হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন ; অর্থঃ- ‘তোমাদের মৃত্যু হোক এবং তোমাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত ও অসন্তুষ্টি বর্ষিত হোক । তাঁর কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আয়েশা থামো ! নম্রতা অবলম্বন করো, কঠোরতা পরিহার করো আশ্লীল ও অসোভন উক্তি হতে বেঁচে থাকা বাঞ্ছনীয় । তখন হযরত আয়েশা বললেন, আপনিকি শোনেন নি- তারা কি বলেছে ? এবার হুযুর (সঃ) বললেন তুমি কি শোননি আমি কি বলেছি ? আমি তো তাদের বাক্য তাদের উপর ফিরিয়ে দিয়েছি । ফলে আমার বাক্য তাদের বিরুদ্ধে গৃহিত । কিন্তু আমার ব্যপারে তাদের প্রার্থনা অগ্রহণীয় ।
আর মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণায় ইহাও উল্লেখ রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন, হে আয়েশা! তুমি অযথা অশ্লীল কথা বলো না । কেননা, আল্লাহ তায়া’লা আশালীনতা ও অশ্লীলতা আদৌ পছন্দ করেন না ।
অনুবাদঃ- ৪৪১৪/১৩ হযরত উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক সমাবেশের নিকট দিয়ে গমন করলেন যেখানে মুসলমান , মুশরিক তথা পৌতলিক ও ইহুদী সম্প্রদায়ের লোক ছিল । তিনি তাদেরকে সালাম করলেন । (বোখারী ও মুসলিম)
অনুবাদঃ- ৪৪১৫/১৪ হযরত আবু সাঈদ খুদ হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা রাস্তার উপর বসা হতে নিজকে বাঁচিয়ে রাখ । তাঁরা বললেন , হে আল্লাহ্র রাসূল । আমাদের তো রাস্তার উপরে বসা ব্যতীত গত্যন্ত্র নেই । কারণ, আমরা তথায় বসে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সমাধা করি । তিনি বলেন , যদি তোমরা তথায় বসতে একান্তই বাধ্য হও তবে রাস্তার হক আদায় করবে । তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! রাস্তার হক কি? তিনি বললেন চক্ষু অবনত রাখা, কাউকেও কষ্ট না দেয়া, সালামের উত্তর দেয়া , ভাল কাজের আদেশ করা এবং খারাপ কাজ হতে নিষেধ করা । (বোখারী ও মুসলিম)
No comments:
Post a Comment